কক্সবাজার ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহপরীর দ্বীপ জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী 

অবিলম্বে শাহপরীরদ্বীপ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ১০:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। জাতীয় অর্থনীতিতে এই এলাকা থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু কর্তা ব্যক্তিদের সমন্বয়হীনতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে এই এলাকা কে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেনি। যা খুবই হতাশাজনক। আমি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে শাহপরীরদ্বীপ বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে এই এলাকার মানুষ শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে এখনো নানাবিধ বৈষম্য বিরাজমান।
বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে সব মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান পৌঁছাতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এমন একটি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়, যেখানে মানুষে মানুষে কোন বিভেদ থাকবেনা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা থাকবে।
২ নভেম্বর শনিবার বিকালে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন,
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বেশি জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি।  জুলুম-নির্যাতন, মামলা ও হামলা চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর পথচলাকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর ফয়সালায় স্বল্প সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকেই দেশবাসী নিষিদ্ধ করেছে।
সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মাওলানা ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত সহযোগী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন সিদ্দিকী, কক্সবাজার শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি সরওয়ার কামাল সিকদার, টেকনাফ পৌর জামায়াতের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ জুবায়ের, পৌর জামায়াতের সহ সভাপতি ও টেকনাফ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা এডভোকেট আব্দুল আমিন, কক্সবাজার শহর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াত নেতা ফজলুল হক প্রমূখ।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহপরীর দ্বীপ জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী 

অবিলম্বে শাহপরীরদ্বীপ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে

আপডেট সময় ১০:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। জাতীয় অর্থনীতিতে এই এলাকা থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু কর্তা ব্যক্তিদের সমন্বয়হীনতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে এই এলাকা কে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেনি। যা খুবই হতাশাজনক। আমি ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে শাহপরীরদ্বীপ বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে এই এলাকার মানুষ শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে এখনো নানাবিধ বৈষম্য বিরাজমান।
বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে সব মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান পৌঁছাতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এমন একটি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়, যেখানে মানুষে মানুষে কোন বিভেদ থাকবেনা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা থাকবে।
২ নভেম্বর শনিবার বিকালে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন,
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বেশি জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি।  জুলুম-নির্যাতন, মামলা ও হামলা চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর পথচলাকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর ফয়সালায় স্বল্প সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকেই দেশবাসী নিষিদ্ধ করেছে।
সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মাওলানা ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত সহযোগী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন সিদ্দিকী, কক্সবাজার শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি সরওয়ার কামাল সিকদার, টেকনাফ পৌর জামায়াতের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ জুবায়ের, পৌর জামায়াতের সহ সভাপতি ও টেকনাফ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা এডভোকেট আব্দুল আমিন, কক্সবাজার শহর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াত নেতা ফজলুল হক প্রমূখ।