২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আইন উপদেষ্টা
- আপডেট সময় ০১:৪৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক:
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দেয়া হয়ত সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার রাতে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় চ্যানেল আই’র আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সময়ের আভাস দেয়ার পর এই কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নিয়ে সরাসরি কথা বললেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে বলে জনান। এছড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাংবাদিকের বিচার হবে এমন কথা আগে বলেননি বলে উল্লেখ করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে তিনি বন্দি বিনিময় চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, এই চুক্তি ভারত মানলে তাদের শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। এই চুক্তি সঠিকভাবে মানলে তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।
ঢালাও মামলা দায়েরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় হতো গায়েবি মামলা। এগুলো পুলিশ করত। মামলাগুলো তৎকালীন বিরোধীদলের লোকদের বিরুদ্ধে হতো। এখন হচ্ছে ঢালাও মামলা। যারা পূর্বে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাই এই মামলা করছে। এই মামলাগুলোতে যাতে নিরঅপরাধ লোক শাস্তি না পান সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হবে এটা বলেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দায়ী না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার হবে না। ছাত্রলীগকে বিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি বড় হয়ে উঠেছে।
জনপ্রত্যাশা তৈরি হলে নিষিদ্ধ করা হবে। তারা অতীতে কি কাজ করেছে তা সব গণমাধ্যমে এসেছে। দেশবাসী দেখেছে।
নির্বাচন কমিশনের জন্য কিছু দিনের মধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলেন আসিফ নজরুল জানান। দ্রবমূল্যের ঊর্ধগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান তিনি। বলেন, তরকারির এত দাম যে বিক্রি কমে গেছে। বন্যার কারণে ডিমের সাপ্লাই কমে গেছে। গত সরকারের আমলে সব নিয়ন্ত্রণ হতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, তবে এটুকু বলতে পারি সামনে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। অনেকক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় একজন বিচারক বলেছিলেন তিনি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আরো অনেকে অনেক কিছু করেছেন।
দেশে এত গুম-খুন হলো, ভুয়া নির্বাচন হলো বিচারকরা কিছুই বললেন না। অনেক বিচারক বিচারবিভাগকে ধ্বংস করেছেন। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির উপর আক্রমণ করেছেন। যারা এসব করেছেন তাদের আওয়ামী লীগ প্রমোশন দিয়েছে। এমন অবস্থা ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলা যেত, কিন্তু বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। এখন সেখানে যে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এগুলো আওয়ামী লীগের কাজের ফল।
৭০ দিন হলো উপদেষ্টামণ্ডলীতে দায়িত্ব পালন করছেন, কোন ভুল কি হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ভুলতো হতে পারে। কারণ আমার অভিজ্ঞতাও কম। কিন্তু এটা বলতে পারি জেনে বুঝে অন্যায় করিনি। আমার নীতিগত ভুল হতে পারে। তবে ব্যক্তিগত স্বার্থে কোন কাজ করিনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা পুরোটাই বাতিল করার প্রক্রিয়ায় আছি৷ মানুষ এই নামগুলোই শুনতে পারে না।
সাকিব আল হাসানের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাকিবের মতো জনপ্রিয় ক্রিকেটার বাংলাদেশে আর আসে নাই। কিন্তু যখন আন্দোলন চলে মানুষ মরছে সাকিব তখন পোস্ট দিলো সে কোথাও এনজয় করছে এমন। তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে গেলে প্রবাসীদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করা হতো আগে। আমার স্বপ্ন ছিল তাদের ভি আই পি সুবিধা দেবো। আমি উদ্যোগ নিয়েছি তাদের জন্য আলাদা একটা লাউঞ্জ হবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এটা হবে।
সূত্র: মানব জমিন