কক্সবাজার ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে কর্মরতদের পারফরম্যান্স ও সম্পদের তথ্য জানতে চেয়েছেন ড. ইউনূস

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক নিউজ:

প্রায় তিন মাস বয়সী ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একবার সম্প্রসারণের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা এখন ২১। প্রধান উপদেষ্টার দুইজন বিশেষ সহকারী, একজন বিশেষ দূত এবং একজন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) রয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকারের পারফরম্যান্স নিয়ে চারদিকে নানা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, সরকারের গতি শ্লথ। আবার কারও কথা হচ্ছে অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সরকার ধীরে ধীরে সবদিক সামলে নিচ্ছে। ওদিকে এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের পারফরম্যান্স যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টাদের কাছে তাদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কেও তথ্য দিতে বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দূত, সহকারী এবং সংশ্লিষ্টরাও পড়বেন এর আওতায়।

 

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরুতে একটি জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হলেও পরে তা এগোয়নি। ৮ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। সরকারে এনজিও প্রতিনিধির আধিক্য নিয়ে অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। শুরুতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। পরবর্তীতে বন্যাসহ বিভিন্ন আন্দোলন সামাল দিতে হচ্ছে সরকারকে। এরইমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোর পরামর্শও আসে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে সে ব্যাপারে আর অগ্রগতি হয়নি।

 

সরকারের কাছে বিভিন্ন মহলের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘সবাই মনে করে যে আমাদের হাতে জাদুর চেরাগ আছে। আমরা চেরাগ ঘষে দিবো। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আসলে বিষয়টা এমন না। কারণ হচ্ছে, আমরা একটা কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। যখন সরকারি কোষাগারে টাকা নাই, বৈদেশিক মুদ্রা নাই। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমাদের হাতে সময় বেশি নাই। রাজনীতিবিদরাও ক্ষমতায় আসার জন্য উশখুশ করছেন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হচ্ছে।

সূত্র: মানবজমিন

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে কর্মরতদের পারফরম্যান্স ও সম্পদের তথ্য জানতে চেয়েছেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৯:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ডেস্ক নিউজ:

প্রায় তিন মাস বয়সী ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একবার সম্প্রসারণের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা এখন ২১। প্রধান উপদেষ্টার দুইজন বিশেষ সহকারী, একজন বিশেষ দূত এবং একজন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) রয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকারের পারফরম্যান্স নিয়ে চারদিকে নানা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, সরকারের গতি শ্লথ। আবার কারও কথা হচ্ছে অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সরকার ধীরে ধীরে সবদিক সামলে নিচ্ছে। ওদিকে এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের পারফরম্যান্স যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টাদের কাছে তাদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কেও তথ্য দিতে বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দূত, সহকারী এবং সংশ্লিষ্টরাও পড়বেন এর আওতায়।

 

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরুতে একটি জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হলেও পরে তা এগোয়নি। ৮ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। সরকারে এনজিও প্রতিনিধির আধিক্য নিয়ে অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। শুরুতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। পরবর্তীতে বন্যাসহ বিভিন্ন আন্দোলন সামাল দিতে হচ্ছে সরকারকে। এরইমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোর পরামর্শও আসে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে সে ব্যাপারে আর অগ্রগতি হয়নি।

 

সরকারের কাছে বিভিন্ন মহলের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘সবাই মনে করে যে আমাদের হাতে জাদুর চেরাগ আছে। আমরা চেরাগ ঘষে দিবো। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আসলে বিষয়টা এমন না। কারণ হচ্ছে, আমরা একটা কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। যখন সরকারি কোষাগারে টাকা নাই, বৈদেশিক মুদ্রা নাই। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমাদের হাতে সময় বেশি নাই। রাজনীতিবিদরাও ক্ষমতায় আসার জন্য উশখুশ করছেন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হচ্ছে।

সূত্র: মানবজমিন