কক্সবাজার ০১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টমটম নয় যেন ‘চলন্ত মৃত্যুফাঁদ’ হাইওয়ে রোডে আতঙ্কে জনজীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ০১:৫৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ০ বার পড়া হয়েছে

এম এ সাত্তার আজাদ
উখিয়া প্রতিনিধি।

উখিয়া উপজেলার হাই রোড ও আশপাশের এলাকায় টমটম (অটোরিকশা) চলাচল এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ—এই টমটম এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফ, কক্সবাজারের মতো জায়গায় এখন মানুষের মরণ যেনো চোখের ফলকে প্রতিনিয়ত ঘটছে।

উখিয়াসহ অনেক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ৬০-৭০% এর জন্য এই টমটম দায়ী বলে সাধারণ লোকজন বলতে শোনা যাচ্ছে ।গত ২৫শে জুলাই২০২৫ ইং উখিয়ায় এক মর্মাত্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের। এটি অত্যান্ত বেদনাদায়ক ও খুবই মর্মাহত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, উখিয়ার হাই রোডে একটি টমটম গাড়ির সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

উপজেলার নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রসাষণ কে অভিযোগ করে আসছেন, এসব টমটম চালক অধিকাংশই পেশাদার নয়। নেই যথাযথ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, নেই কোনো ট্রাফিক নিয়মের ধার ধারার প্রবণতা। অনেকে আবার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য, যাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকার অনুমতি নেই।

একজন সচেতন নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রোহিঙ্গা আসার পর থেকে উখিয়ায় যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার ৭০ শতাংশ এই টমটম গাড়ির কারণেই হয়েছে। আমরা আজ নিজেদের এলাকাতেই পরবাসী হয়ে পড়েছি। ব্যবসা, শ্রমবাজার, এমনকি চাকরির ক্ষেত্রেও আমরা কোণঠাসা।” লেজুড় ভিত্তিক রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে এই সব রোহিঙ্গারা স্বাভাবিক জনজীবন হুমকির মুখে।তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন আগেই হাজারো শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে বেকার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবারগুলোর খোঁজ কি কেউ নিয়েছে? কেউ হয়তো তিনবেলা খাবারে একবেলা উপোস থাকছে।”

একাধিক সচেতন মহল জানিয়েছেন ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের ঘুষ বানিজ্যের কারণে এইসব লাইসেন্স বিহীন টমটম অবাধে চলছে বলে অভিযোগ করেছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি—উখিয়ার হাই রোড থেকে অবিলম্বে টমটম/অটোরিকশা উচ্ছেদ করতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে এবং মানুষ মরতেই থাকবে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই পারে এই মৃত্যুফাঁদ থেকে জনজীবনকে রক্ষা করতে।উপজেলা ইউএনও মহোদয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে করছে বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টমটম নয় যেন ‘চলন্ত মৃত্যুফাঁদ’ হাইওয়ে রোডে আতঙ্কে জনজীবন

আপডেট সময় ০১:৫৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

এম এ সাত্তার আজাদ
উখিয়া প্রতিনিধি।

উখিয়া উপজেলার হাই রোড ও আশপাশের এলাকায় টমটম (অটোরিকশা) চলাচল এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ—এই টমটম এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফ, কক্সবাজারের মতো জায়গায় এখন মানুষের মরণ যেনো চোখের ফলকে প্রতিনিয়ত ঘটছে।

উখিয়াসহ অনেক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ৬০-৭০% এর জন্য এই টমটম দায়ী বলে সাধারণ লোকজন বলতে শোনা যাচ্ছে ।গত ২৫শে জুলাই২০২৫ ইং উখিয়ায় এক মর্মাত্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের। এটি অত্যান্ত বেদনাদায়ক ও খুবই মর্মাহত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, উখিয়ার হাই রোডে একটি টমটম গাড়ির সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

উপজেলার নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রসাষণ কে অভিযোগ করে আসছেন, এসব টমটম চালক অধিকাংশই পেশাদার নয়। নেই যথাযথ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, নেই কোনো ট্রাফিক নিয়মের ধার ধারার প্রবণতা। অনেকে আবার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য, যাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকার অনুমতি নেই।

একজন সচেতন নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রোহিঙ্গা আসার পর থেকে উখিয়ায় যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার ৭০ শতাংশ এই টমটম গাড়ির কারণেই হয়েছে। আমরা আজ নিজেদের এলাকাতেই পরবাসী হয়ে পড়েছি। ব্যবসা, শ্রমবাজার, এমনকি চাকরির ক্ষেত্রেও আমরা কোণঠাসা।” লেজুড় ভিত্তিক রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে এই সব রোহিঙ্গারা স্বাভাবিক জনজীবন হুমকির মুখে।তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন আগেই হাজারো শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে বেকার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবারগুলোর খোঁজ কি কেউ নিয়েছে? কেউ হয়তো তিনবেলা খাবারে একবেলা উপোস থাকছে।”

একাধিক সচেতন মহল জানিয়েছেন ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের ঘুষ বানিজ্যের কারণে এইসব লাইসেন্স বিহীন টমটম অবাধে চলছে বলে অভিযোগ করেছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি—উখিয়ার হাই রোড থেকে অবিলম্বে টমটম/অটোরিকশা উচ্ছেদ করতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে এবং মানুষ মরতেই থাকবে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই পারে এই মৃত্যুফাঁদ থেকে জনজীবনকে রক্ষা করতে।উপজেলা ইউএনও মহোদয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে করছে বলে জানিয়েছেন।