কক্সবাজার ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
টেকনাফে জামায়াতের গণমিছিলে জেলা আমীর আনোয়ারী

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ দেশবাসীর কাছে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ০৮:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে
টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ দেশবাসীর কাছে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষ ৫ আগস্টের পর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। গণতন্ত্র কে শাণিত করতে পারছে। গুম-খুন বন্ধ হওয়ায় দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা এই বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছে তাদের কে জাতীয় বীর হিসেবে সম্মান করতে বদ্ধপরিকর। যারা আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এক ঝাঁক সাহসী, অকুতোভয় ছাত্র -জনতার সম্মিলিত ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা কে আমরা বেহাত হয়ে দিব না। বাংলাদেশ কে আঠারো কোটি মানুষের জন্য একটি শান্তিময় ও নিরাপদ জনপদে পরিণত করতে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত জুলাই  গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশাল গণমিছিলোত্তর  সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে গণমিছিল টি অনুষ্টিত বিকাল তিন টায় টেকনাফ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন বাস স্টেশনে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, টেকনাফ সহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে, দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সে জোয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িপাল্লার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। কারো চোখ রাঙানি, হুমকি জামায়াতে ইসলামীর এ গণজোয়ারকে থামাতে পারবেনা। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ নতুন মোড়কে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। ২৪ এর লাল জুলাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যেকোন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বুক চেতিয়ে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে টেকনাফের গণমানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের জন্মভূমি এই টেকনাফের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে একটি নিরাপদ টেকনাফ আমরা গড়তে চাই, যে টেকনাফে ফ্যাসিবাদ থাকবেনা, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস থাকবেনা, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট থাকবেনা। আমরা এমন একটি উখিয়া ও টেকনাফ গড়তে চাই যেখানে কোন মানুষ বেকার থাকবেনা, সবাই নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। এমন একটি টেকনাফ গড়তে হলে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে। গত ৫৩ বছর এদেশের মানুষকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করলেও, উখিয়া-টেকনাফের আপামর মানুষের ভাগ্য পরিবর্ত করতে পারেননি। তাই আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে আগামীর সম্ভাবনার উখিয়া-টেকনাফ গঠন করার জন্য ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মিছিলোত্তর সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন ছিদ্দিকী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল্লাহ, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহিম নুরী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা ফোরকান আহমদ, উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদার, উপজেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, টেকনাফ পৌর জামায়াতের সভাপতি মু. রবিউল আলম,  পৌর জামায়াতের সহসভাপতি ও পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক রহমান, জামায়াত নেতা এডভোকেট আব্দুল আমিন, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা গিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ জুবাইর, মানবসম্পদ সম্পাদক মাওলানা মোস্তাক আহমদ, উপজেলা অর্থ ও অফিস সেক্রেটারী মুহাম্মদ হোসাইন, বাহারছড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি জায়নত উল্লাহ, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নাছির উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মোস্তাফা জামান মানিক, হ্নীলা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহ আলম, বাহারছড়া ইউনিয়ন সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আনোয়ার হোসেন বাপ্পী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফে জামায়াতের গণমিছিলে জেলা আমীর আনোয়ারী

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ দেশবাসীর কাছে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে

আপডেট সময় ০৮:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ দেশবাসীর কাছে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষ ৫ আগস্টের পর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। গণতন্ত্র কে শাণিত করতে পারছে। গুম-খুন বন্ধ হওয়ায় দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা এই বিপ্লবে যারা জীবন দিয়েছে তাদের কে জাতীয় বীর হিসেবে সম্মান করতে বদ্ধপরিকর। যারা আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এক ঝাঁক সাহসী, অকুতোভয় ছাত্র -জনতার সম্মিলিত ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা কে আমরা বেহাত হয়ে দিব না। বাংলাদেশ কে আঠারো কোটি মানুষের জন্য একটি শান্তিময় ও নিরাপদ জনপদে পরিণত করতে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত জুলাই  গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশাল গণমিছিলোত্তর  সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে গণমিছিল টি অনুষ্টিত বিকাল তিন টায় টেকনাফ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন বাস স্টেশনে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, টেকনাফ সহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে, দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সে জোয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িপাল্লার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। কারো চোখ রাঙানি, হুমকি জামায়াতে ইসলামীর এ গণজোয়ারকে থামাতে পারবেনা। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ নতুন মোড়কে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। ২৪ এর লাল জুলাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যেকোন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বুক চেতিয়ে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে টেকনাফের গণমানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের জন্মভূমি এই টেকনাফের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে একটি নিরাপদ টেকনাফ আমরা গড়তে চাই, যে টেকনাফে ফ্যাসিবাদ থাকবেনা, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস থাকবেনা, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট থাকবেনা। আমরা এমন একটি উখিয়া ও টেকনাফ গড়তে চাই যেখানে কোন মানুষ বেকার থাকবেনা, সবাই নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। এমন একটি টেকনাফ গড়তে হলে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে। গত ৫৩ বছর এদেশের মানুষকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করলেও, উখিয়া-টেকনাফের আপামর মানুষের ভাগ্য পরিবর্ত করতে পারেননি। তাই আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে আগামীর সম্ভাবনার উখিয়া-টেকনাফ গঠন করার জন্য ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মিছিলোত্তর সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন ছিদ্দিকী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল্লাহ, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহিম নুরী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা ফোরকান আহমদ, উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদার, উপজেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, টেকনাফ পৌর জামায়াতের সভাপতি মু. রবিউল আলম,  পৌর জামায়াতের সহসভাপতি ও পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক রহমান, জামায়াত নেতা এডভোকেট আব্দুল আমিন, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা গিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ জুবাইর, মানবসম্পদ সম্পাদক মাওলানা মোস্তাক আহমদ, উপজেলা অর্থ ও অফিস সেক্রেটারী মুহাম্মদ হোসাইন, বাহারছড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি জায়নত উল্লাহ, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নাছির উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মোস্তাফা জামান মানিক, হ্নীলা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহ আলম, বাহারছড়া ইউনিয়ন সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আনোয়ার হোসেন বাপ্পী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান প্রমূখ।