কক্সবাজার ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী ও এক যুবক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ০২:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ০ বার পড়া হয়েছে

উখিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী ও এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন—রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ নম্বরের সেতারা বেগম (২২), মরজিনা আক্তার (২৪) এবং রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (২৫)। তিনি আমির আলী সর্দারের ছেলে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। রবিউল ইসলাম নিয়মিতভাবে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করতেন। এই কাজে তার স্ত্রী সেতারা বেগমসহ রোহিঙ্গা নারীদের ব্যবহার করতেন তিনি। আটক অপর নারী মরজিনা আক্তারকেও মাদকের দৌরাত্ম্য ছড়াতে সহায়তা করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনী বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি নির্দিষ্ট ঘর থেকে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। ইয়াবার প্রকৃত পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও, তা কয়েক হাজার পিস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটক সেতারা বেগম, যিনি রবিউল ইসলামের স্ত্রী, তিনি দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করলেও তার সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করি এবং তিনজনকে হাতেনাতে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের অপরাধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।”

আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাদেরকে থানায় হস্তান্তরের পর নিয়মিত আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চল বহুদিন ধরেই ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হলেও পুরো চক্র এখনো নির্মূল হয়নি। ফলে এ ধরনের অভিযান আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

উখিয়ায় ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী ও এক যুবক আটক

আপডেট সময় ০২:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

উখিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী ও এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন—রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ নম্বরের সেতারা বেগম (২২), মরজিনা আক্তার (২৪) এবং রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (২৫)। তিনি আমির আলী সর্দারের ছেলে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। রবিউল ইসলাম নিয়মিতভাবে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করতেন। এই কাজে তার স্ত্রী সেতারা বেগমসহ রোহিঙ্গা নারীদের ব্যবহার করতেন তিনি। আটক অপর নারী মরজিনা আক্তারকেও মাদকের দৌরাত্ম্য ছড়াতে সহায়তা করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনী বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি নির্দিষ্ট ঘর থেকে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। ইয়াবার প্রকৃত পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও, তা কয়েক হাজার পিস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটক সেতারা বেগম, যিনি রবিউল ইসলামের স্ত্রী, তিনি দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করলেও তার সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করি এবং তিনজনকে হাতেনাতে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের অপরাধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।”

আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাদেরকে থানায় হস্তান্তরের পর নিয়মিত আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চল বহুদিন ধরেই ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হলেও পুরো চক্র এখনো নির্মূল হয়নি। ফলে এ ধরনের অভিযান আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।