কক্সবাজার ০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর টমটম চালকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ০৪:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

এম এ সাত্তার আজাদ
উখিয়ায় উপজেলা

নিখোঁজের একদিন পর নুরুল আফসার (১৮) নামে এক টমটম চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম রাবার বাগান থেকে মরদেহটি শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত নুরুল আফসার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ইষ্টের ব্লক জি-১৭ এর বাসিন্দা। তিনি জাফর আলম ও হাজারা খাতুন এর ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানায় যে, নুরুল আফসার পেশায় টমটম চালক ছিলেন। শুক্রবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল পরিবার। অবশেষে রবিবার বিকেলের দিকে ঘুমধুম রাবার বাগানে তার মরদেহ শনাক্ত হলে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, অল্প বয়সী একজন পরিশ্রমী টমটম চালকের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তারা ধারণা করছেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁহার পরিবার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

উখিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর টমটম চালকের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

এম এ সাত্তার আজাদ
উখিয়ায় উপজেলা

নিখোঁজের একদিন পর নুরুল আফসার (১৮) নামে এক টমটম চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম রাবার বাগান থেকে মরদেহটি শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত নুরুল আফসার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ইষ্টের ব্লক জি-১৭ এর বাসিন্দা। তিনি জাফর আলম ও হাজারা খাতুন এর ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানায় যে, নুরুল আফসার পেশায় টমটম চালক ছিলেন। শুক্রবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল পরিবার। অবশেষে রবিবার বিকেলের দিকে ঘুমধুম রাবার বাগানে তার মরদেহ শনাক্ত হলে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, অল্প বয়সী একজন পরিশ্রমী টমটম চালকের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তারা ধারণা করছেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁহার পরিবার।