কক্সবাজার ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জালিয়াপালং ইউনিয়ন জামায়াতের সহযোগী সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা :
  • আপডেট সময় ১২:২৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের  আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, বাংলার জনগণ নতুন কোন ফ্যাসীবাদকে দেখতে চাই না।  আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৭ বছর ধরে চরম জুলুম-নির্যাতন, খুন-গুম, সন্ত্রাস-হত্যা, লুটপাট করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে এদেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নিরীহ শিশু-নারীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যা পৃথিবীতে বিরল। নাৎসী বাহিনীও যা করেনি শেখ হাসিনা তাই করেছে। ৫ই আগস্টেও এই ফ্যাসিস্টের নির্দেশে নির্দয়ভাবে আশুলিয়া, সাভার এলাকায় বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব যেমন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, শেখ হাসিনাও দেশে সিন্ডিকেট করে গণতন্ত্র হত্যা করে পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র চালু করেছিল। শেখ মুজিব গণতন্ত্রের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে সিঁড়ি ফেলে দিয়েছিলো। পরে কিন্তু আর সিঁড়ি না পেয়ে ধপাস করে পড়ে গিয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন বিগত কোন সরকার এদেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি,তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি।কারণ মানব রচিত কোন মতাদর্শ মানুষের মুক্তি দিতে পারেনা।

জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায় না, ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে চায় ,আমরা ক্ষমতায় যেতে চায় না কুরআনকে সংসদে নিতে চায়।

আনোয়ারী বলেন, মানুষ বলে ৫ই আগষ্টের পর হতে কেন জোয়ারের পানির মত মানুষ জামায়াতের সাথে যোগ দিচ্ছে। দেখুন আমরা বিগত প্রায় দেড় যুগে কথা বলতে পারি নাই। আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারি নাই। এখন মানুষ ইসলামের সৌন্দর্য দেখে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতলে আসছে। এটা জামায়াতে ইসলামীর কোন কৃতিত্ব নয় বরং এটা মহান আল্লাহর রহমত। এটা ইসলামের কৃতিত্ব। শহীদ হাফেজ আবু নাছেরের রক্তের বিনিময়ে এই জালিয়াপালং এ ও ইসলামের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।

২৯ নভেম্বর বিকাল ২ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় সোনার পাড়া বাজার চত্বরে অনুষ্ঠিত সহযোগী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানীর সভাপতিত্বে জামায়াত নেতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ঈদগাঁও উপজেলাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের নবনির্মিত চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন, উখিয়া উপজেলা  আমীর মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ,এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম,উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান, কক্সবাজার জেলা বারের এজিএস ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট কলিম উল্লাহ আল মামুন।

প্রধন বক্তার বক্তব্যে এডভোকেট শাহজাহলাল চৌধুরী বলেন, অতীতে কোন সরকার এদেশের মানুষকে তাদের হক ফিরিয়ে দিতে পারেনি।তাই আসুন শান্তি পেতে হলে ইসলামের দিকে ফিরে আসুন।

আরো বক্তব্য রাখেন,সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল জাব্বার, ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিস, সেক্রেটারি দিদার আহমদ, ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা হফেজ জালাল উদ্দীন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মনজুর আলম , সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুফিজুর রহমান , হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা এমদাদুল হক, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম ও শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন বাবুলসহ নেতৃবৃন্দ।

উক্ত সহযোগী সম্মেলনে ২ সহস্রাধিক নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জালিয়াপালং ইউনিয়ন জামায়াতের সহযোগী সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে

আপডেট সময় ১২:২৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের  আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, বাংলার জনগণ নতুন কোন ফ্যাসীবাদকে দেখতে চাই না।  আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৭ বছর ধরে চরম জুলুম-নির্যাতন, খুন-গুম, সন্ত্রাস-হত্যা, লুটপাট করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে এদেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নিরীহ শিশু-নারীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যা পৃথিবীতে বিরল। নাৎসী বাহিনীও যা করেনি শেখ হাসিনা তাই করেছে। ৫ই আগস্টেও এই ফ্যাসিস্টের নির্দেশে নির্দয়ভাবে আশুলিয়া, সাভার এলাকায় বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব যেমন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, শেখ হাসিনাও দেশে সিন্ডিকেট করে গণতন্ত্র হত্যা করে পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র চালু করেছিল। শেখ মুজিব গণতন্ত্রের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে সিঁড়ি ফেলে দিয়েছিলো। পরে কিন্তু আর সিঁড়ি না পেয়ে ধপাস করে পড়ে গিয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন বিগত কোন সরকার এদেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি,তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি।কারণ মানব রচিত কোন মতাদর্শ মানুষের মুক্তি দিতে পারেনা।

জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায় না, ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে চায় ,আমরা ক্ষমতায় যেতে চায় না কুরআনকে সংসদে নিতে চায়।

আনোয়ারী বলেন, মানুষ বলে ৫ই আগষ্টের পর হতে কেন জোয়ারের পানির মত মানুষ জামায়াতের সাথে যোগ দিচ্ছে। দেখুন আমরা বিগত প্রায় দেড় যুগে কথা বলতে পারি নাই। আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারি নাই। এখন মানুষ ইসলামের সৌন্দর্য দেখে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতলে আসছে। এটা জামায়াতে ইসলামীর কোন কৃতিত্ব নয় বরং এটা মহান আল্লাহর রহমত। এটা ইসলামের কৃতিত্ব। শহীদ হাফেজ আবু নাছেরের রক্তের বিনিময়ে এই জালিয়াপালং এ ও ইসলামের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।

২৯ নভেম্বর বিকাল ২ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় সোনার পাড়া বাজার চত্বরে অনুষ্ঠিত সহযোগী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানীর সভাপতিত্বে জামায়াত নেতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ঈদগাঁও উপজেলাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের নবনির্মিত চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন, উখিয়া উপজেলা  আমীর মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ,এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম,উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান, কক্সবাজার জেলা বারের এজিএস ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট কলিম উল্লাহ আল মামুন।

প্রধন বক্তার বক্তব্যে এডভোকেট শাহজাহলাল চৌধুরী বলেন, অতীতে কোন সরকার এদেশের মানুষকে তাদের হক ফিরিয়ে দিতে পারেনি।তাই আসুন শান্তি পেতে হলে ইসলামের দিকে ফিরে আসুন।

আরো বক্তব্য রাখেন,সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল জাব্বার, ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিস, সেক্রেটারি দিদার আহমদ, ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা হফেজ জালাল উদ্দীন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মনজুর আলম , সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুফিজুর রহমান , হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা এমদাদুল হক, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম ও শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন বাবুলসহ নেতৃবৃন্দ।

উক্ত সহযোগী সম্মেলনে ২ সহস্রাধিক নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।